,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

ঝালকাঠিতে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতাকে হাত-পা ভেঙ্গে মধ্যযুগের নির্যাতনের সংবাদ সম্মেলন।

ঝালকাঠিতে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতাকে হাত-পা ভেঙ্গে মধ্যযুগের নির্যাতনের সংবাদ সম্মেলন।
মোঃ মাছুম বিল্লাহ ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিনকে পুলিশ হেফাজতে দু’দফায় হাত-পা ভেঙ্গে দিয়ে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সরকারি কাজে বাঁধা দানের মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ এনে পুলিশ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে আহত ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে নির্যাতিত রুহুল আমিনের বাবা ফল ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক হাওলাদার ও তার পরিবার ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলের সুচিকৎসা, নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনগত প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১০ আগস্ট জেলা পরিষদের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা খাচ্ছিল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন। এ সময় হোটেল মালিককে তুচ্ছ কারনে তিন ব্যক্তি গালাগাল করছিল। রুহুল বৃদ্ধ হোটেল মালিককে অকথ্য গালাগাল করতে নিষেধ করলে ওই তিন ব্যক্তি তাকেও তুইতোকারি করে হুমকি দেয়। রুহুল র্দূব্যবহার করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে একজন তার কলার ধরে টেনে বাইরে বের করে ও ৩জন মিলে তাকে বেধরক মারধর করতে শুরু করে। এসময় স্থানীয় দু/একজন এগিয়ে আসলে ওই তিনজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে অনবরত মারতে থাকে। এক পর্যায়ে রুহুল নিজেকে বাঁচাতে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটা লাঠি দিয়ে ঠেকাতে গেলে পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন আহত হয়। এদিকে আহত আলাউদ্দিনের সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা বিনাদোষে পুলিশের উপর হামলা মারধরের ‘বানোয়াট কাহিনী রটিয়ে’ পুলিশ বিভাগের সবাইকে খেপিয়ে তোলে। পুলিশ তাৎক্ষনিক শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকা থেকে রুহুলকে আটক করে থানায় এনে বেধরক মারধর করে এবং রাতভর নির্যাতন চালায়।
এরপর তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে মারধর, সরকারি কাজে বাঁধাদানসহ গুরুত্বর সব ধারায় অভিযোগ এনে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেনকে বাদী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তাকে থানায় এনে দ্বিতীয় দফায় নির্যাতনকালে থানার সম্মুখের রাস্তায় দাড়িয়ে রুহুলের পিতা ডাক-চিৎকারের শব্দ পেলেও নিরুপায় হয়ে তিনি শুনছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। পরের দিন নির্যাতনের কারণে রুহুল নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছিল না বলেও জানান তাঁর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালে সুচিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে পাঠানো হয়। আহত ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিনের সুচিকৎসা, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিনের মা শেফালী বেগম, বোন রেখা আক্তার ও রিতু আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার জানান, পুলিশ সদস্যকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে মামলা হয়েছে। থানায় কোন আসামিকে মারধর করা হয় না। এ অভিযোগ সত্য নয়।
Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ